,

শায়েস্তাগঞ্জে শিক্ষিকা সুপ্তা রানী দাসের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের :: সিএনজি উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার : শায়েস্তাগঞ্জে সহকারী স্কুলশিক্ষিকা সুপ্তা রানী দাসের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামী গ্রেফতারে তৎপরতা শুরু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) অভিযুক্ত অটোরিকশা চালক মতিন মিয়ার বাড়ি থেকে শিক্ষিকার লাফ দেয়া সিএনজিটি উদ্ধার করেছে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ।
গত সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে নিহত শিক্ষিকার ভাই পুলক দাস বাদী হয়ে সিএনজি অটোরিকশা চালক মতিন মিয়াসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অটোরিকশা চালক মতিন মিয়া চুনারুঘাট উপজেলার বদর গাজী গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, গত ১১ আগস্ট সকাল ৯ টার দিকে প্রতিদিনের মত তিনি বিদ্যালয়ে যাওয়ার জন্য শায়েস্তাগঞ্জ শহরের পোস্ট অফিস সংলগ্ন সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডে যান। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত সিএনজি অটোরিকশাচালক মতিন মিয়া তার সহযোগীদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন। ওই শিক্ষিকা সেখানে যাওয়ামাত্র চালক মতিন মিয়া তাকে ডেকে তুলেন। ওই স্কুলটির কাছাকাছি গাড়িটি যাওয়ার পর শিক্ষিকা সুপ্তা তাকে নামিয়ে দিতে বলেন। কিন্তু তাকে সেখানে নামিয়ে না দিয়ে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে অটোরিকশাটি রঘুনন্দন পাহাড়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকে চালক ও তার সহযোগীরা। এ সময় সুপ্তা ধস্তাধস্তি শুরু করলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে চালক ও তার সহযোগিরা মারাত্মক আঘাত করে। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষিকা সংজ্ঞাহীন হয়ে গেলে মারা গেছেন মনে করে বিষয়টিকে দুর্ঘটনা বলে চালিয়ে দিতে চলন্ত গাড়ি থেকে চালক ও তার সহযোগিরা সুপ্তাকে ফেলে দেয়। এ সময় সুপ্তা রানী দাস মারাত্মক আহত হন। পথচারীদের সাহায্যে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হক কামাল জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে আমরা মতিন মিয়ার বাড়ি থেকে সিএনজিটি উদ্ধার করেছি। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, নিহত সুপ্তা দাস হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের পবিত্র রঞ্জন দাসের মেয়ে। তিনি নিশাপট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হিসাবে কর্মরত ছিলেন।


     এই বিভাগের আরো খবর